পরাধীনতাও সুখ আনতে পারে

পরাধীনতাও সুখ আনতে পারে লেখাটি আল শাহারিয়া এর লেখা একটি মুক্তগদ্য।

প্রত্যেকটা ঘুড়ির জন্যই নাটাই-সুতো জরুরি। সুতা-কাটা প্রত্যেকটা ঘুড়ি আপাত দৃষ্টিতে স্বাধীন হলেও আদতে পরাধীন এবং বেওয়ারিশ। ঘুড়ি কেবল নাটাই-সুতোতেই ঘুড়ি‚ এর বিচ্যুতিতে ঘুড়ি হতে পারে একটা ছিড়ে নেওয়া কাগজ‚ শিশুর কান্না অথবা হাসি নয়তো অপক্ব কিশোরের আওড়ানো বুলি ‘এভাবে ভালোবাসি’।

কিছুক্ষেত্রে কিছু মানুষের কাছে পরাধীন থাকা‚ হেরে যাওয়া শ্রেয়। পরাধীনতাও সুখ আনতে পারে। মহাপৃথিবী এক অপার বৈচিত্র‍্যের লীলাভূমি। মানুষের কারণে-অকারণে বৈচিত্ত্যের সাথে সাক্ষাৎ হয়। এসব স্বাভাবিক ঘটনা মেনেই অবলীলায় নিশ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যাচ্ছে‚ যেতে হচ্ছে।

বেলা শেষে পাশে থাকাটা জরুরি। তাঁর চেয়ে জরুরি অন্যের ব্যক্তিগত ইচ্ছে-খুশির মূল্য দেওয়া। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জন্য পৃথক কবর-ই বরাদ্দ। চাইলেই এক কবরে দু’জন ঘুমানো যাবে না। বড়োজোর পাশাপাশি কবরে শীত-বসন্ত কাঁটানো যাবে।

যতটুকু ভালোবাসা হয় পুরোটাই বুঝিয়ে দিতে হবে। নিরবে ভালোবেসে কষ্ট-ই বেশি পাওয়া হয়। সেটা যেকোনো প্রান্তের মানুষ-ই পেতে পারে। অনুভূতির তর্জমা সবাই করতে পারে না। এই ব্যস্ত পৃথিবীতে নিজেকে বুঝতেই চলে যায় সময়। এক সেকেন্ড সময় অপচয় করার অর্থ জীবন থেকে সবচেয়ে অমূল্য জিনিস হারিয়ে ফেলা হলো অকারণে।

চলে যাওয়া মানুষের স্বভাব‚ ভুলে যাওয়া নয়। মানুষ তাঁর সমগ্র জীবনে কিছু মানুষকে ভালো অথবা খারাপ জেনে মনে রেখে দেয়‚ দিতে হয়। চাইলেই কিছু সময়‚ মানুষ‚ অনুভূতির উথাল-পাথাল ভুলে যাওয়া যায় না। যা কিছু ভুলে যাওয়া আমরা টের পাই ওটা নির্দিষ্ট নিমিত্তে।

-পরাধীনতাও সুখ আনতে পারে
আল শাহারিয়া

পরাধীনতাও সুখ আনতে পারে

আল শাহারিয়ার আরও লেখা পড়ুন

Leave a Reply