বিশ্বে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেড় দশক পার করে ফেলছে। ২০০৬ সালে ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সাকিবের আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়েতে হারারে স্পোর্টস ক্লাব স্টেডিয়ামে বিশ্ববিখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অভিষেক ঘটে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে।
প্রথম ম্যাচেই সাকিব তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন। বল হাতে ৩৯ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন একটি উইকেট। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাকিবের প্রথম শিকার এলটন চিকুম্বুরা, সাকিবের বলে বোল্ড হয়েছিলেন চিকুম্বুরা এবং ব্যাট হাতে করেছিলেন অপরাজিত ৩০ রান।
সেদিন শাহরিয়ার নাফিস সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ সেই ম্যাচে জয়লাভ করে।
সেই শুরু, এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় একযুগ আইসিসি অলরাউন্ড র্যাংকিং-এ আধিপত্য বিস্তার করেছেন। একসাথে থেকেছেন তিন ফরম্যাটের শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে। যেটা বিশ্বের অন্য কোন অলরাউন্ডারের ক্ষেত্রে বিরল।
ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক তিন ফরমেটে তাঁর উইকেট সংখ্যা পাঁচ শতকেরও বেশি এবং রান ১২ হাজারেরও বেশি, যেটা এক জন অলরাউন্ডারের ক্ষেত্রে বিরাট অর্জন।
১৫ বছরের মাথায় সেই একই ৬ আগস্ট এ সাকিবের এবারের প্রতিপক্ষ অস্ট্রিলিয়া টি-২০ ম্যাচে।
![সাকিব আল হাসান](https://www.bishwabidyalay.com/wp-content/uploads/2021/08/SAH75.jpg)
সাকিবের অর্জনের ঝুলি যেমন অনেক ভারী, বিতর্কও তেমনি পিছু ছাড়েনি তাঁর। বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে একাধিক বার।
এ পর্যন্ত ৫৮টি টেস্ট, ২১৫টি ওডিআই, ৮১টি টি টোয়েন্টি খেলেছেন সাকিব আল হাসান।
সাকিবের বাড়ি খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলায়। বেড়ে ওঠা সেখানেই। বিয়ে করেছেন উম্মে আহমেদ শিশিরকে ১২.১২.১২ তারিখে। পিতা সাকিবের আছে তিনটি সন্তান। দুই মেয়ে আর এক ছেলে আলোকিত করছে সাকিবের সংসার।
সাকিব তাঁর প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়, সাথে নিজেকেও। দেড় দশকে সাকিব আরও তীক্ষ্ণ, আরও পরিণত। সাকিবের এই দেড় দশক দুই দশক কিংবা দুই যুগে রূপ নিক এ আশা করতেই পারি।
আরও পড়ুন